ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দিনাজপুরে প্রশাসনের অভিযানে কমেছে ধান ও চালের দাম

দিনাজপুরে প্রশাসনের অভিযানে কমেছে ধান ও চালের দাম

দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান পরিচালনায় ধান-চালের বড় মোকাম দিনাজপুর বাহাদুর বাজারে কমতে শুরু করেছে ধান ও চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে ধানের দাম ও কিছুটা কমেছে। তবে পাইকারিতে দাম কমার কোনো প্রভাব খুচরা বাজারে এখনও পড়েনি। তবে আমনের ধান ও চালের জোগান বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে বলে দিনাজপুর চাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের দিক নির্দেশনায় এ অভিযানসমূহ পরিচালিত হয়েছে।

এদিকে, দিনাজপুর পাইকারি বাজারে চাল ও ধানের দামের হঠাৎ পতনে বিপাকে পড়েছেন এখানকার ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা। তারা বলছেন, প্রতি মণ ধানে ৫০-১০০ টাকা এবং প্রতি কেজি চালে ২-৩ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। মোকাম ও হাটগুলোতে ধান চালের বিক্রিও কমে গেছে।

তারা আরও বলছেন, এ বছর উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে। সেই সঙ্গে এর আগে আমদানি করা ভারতীয় চালও রয়ে গেছে। ফলে সব মিলিয়ে দাম পড়ে গেছে।ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দিনাজপুরে চালকলগুলোর গুদামে এবং চাল আড়তদারের মোকামে প্রচুর চাল মজুত আছে। এজন্য অনেক ব্যবসায়ী কেজি প্রতি ২-৩ টাকা লোকসান গুণে চাল বিক্রি করছেন। চালের দাম কমে যাওয়ায় মিল মালিকেরা ধান কিনছেন না। ফলে ধানের দামও কমে গেছে। প্রতি কেজি মোটা চাল পাইকারিতে টাকা ও দুই হাজার টাকা ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার বাজারের ধানের আড়তদাররা বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ধানের দাম কমেছে। স্বর্ণা ধানের দাম মণ প্রতি ১০০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে। দিনাজপুর ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি বলেন, অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে ধানের সরবরাহ কম থাকে বলে চালের দাম কিছুটা বাড়ে। অথচ এ বছর উল্টো চিত্র, দাম কমেছে । এতে যেসব ব্যবসায়ী বেশি করে চাল মজুত রেখেছিলেন, তাদের অবস্থা খারাপ। বর্তমানে মোকামগুলোতে প্রচুর চালের মজুত জমে গেছে। অথচ বাজারে চাল কেনার পাইকারি ক্রেতা নেই।

দিনাজপুরে সবচেয়ে বড় চালের মোকামগুলো এবং খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক-দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সরু চালের দাম প্রতি বস্তায় প্রতি ৫০ কেজির বস্তা ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আগে যে পাইজাম প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা কমে ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। মোটা চালের (স্বর্ণা-৫, গুটি স্বর্ণা, হাইব্রিড স্বর্ণা) দাম বস্তায় ১০০-১৫০ টাকা কমে ১ হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ শত টাকা থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের দিক নির্দেশনায় দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলায় ১২ দিনে ৩৮বার অভিযান চালিয়ে তিন লাখ এক হাজার টাকা জরিমানা করে গুদাম ঘর সীলগালা করা হয়েছে। এ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তিতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

দিনাজপুর,অভিযান,চাল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত